ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির মধ্যেই খবর পাওয়া গেছে যে কাতারে বসবাসরত হামাসের নেতাদের হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি কাতারকে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরই যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় নামে কাতার।
ফরাসি সাংবাদিক জর্জেস ম্যালব্রনট এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন তার লে ফিগারো পত্রিকায়। ফরাসি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কাছ থেকে কাতার এই আশ্বাস পেয়েছে যে ওই দেশে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ কোনো গুপ্ত হামলা চালাবে না। এতে আরো বলা হয়, পণবন্দীদের মুক্তির কাজে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনের কয়েক সপ্তাহ আগেই ইসরাইলের কাছে এই পূর্বশর্ত উপস্থাপন করে কাতার।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাস নেতাদের হত্যা করার জন্য মোশাদকে নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু এমন দাবিও করেন যে যে যাই বলুক না কেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাস নেতাদের ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং অপর মন্ত্রী বেনি গাঞ্জ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে গ্যালান্ট বলেন, ইসমাইল হানিয়া এবং খালেদ মিশালের মতো সিনিয়র হামাস নেতারা `ধার করা সময়ে বেঁচে আছেন। তারা সবাই মৃত মানুষ। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাব, কিছুই আমাদের বাধা দেবে না : নেতানিয়াহু এদিকে রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাব। কিছুই আমাদের বাধা দেবে না।’
যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে রোববার উত্তর গাজা উপত্যকায় সৈন্যদের পরিদর্শন করেছেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু তার অফিস থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এবং অবশেষে আমরা তাদের সবাইকে ফিরিয়ে দেব।’তিনি আরো বলেন, ‘এই যুদ্ধের জন্য আমাদের তিনটি লক্ষ্য রয়েছে- হামাসকে নির্মূল করা, আমাদের সমস্ত বন্দীকে ফিরিয়ে আনা এবং গাজা যেন আবার ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, নেতানিয়াহু ইসরাইলি সেনাদের উন্মোচিত হামাসের একটি সুড়ঙ্গ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন চিফ অফ স্টাফ জাচি ব্রাভারম্যান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আভি গিল এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল আমির বারাম।
টিএইচ